শুভলং ঝর্ণা বাংলাদেশের সুপরিচিত জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুউচ্চ পাহাড় থেকে পতিত পানি আর সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত এই জলপ্রপাত।
দৃষ্টিনন্দন শুভলং ঝর্ণা
রাঙামাটি সদর থেকে নৌপথে বরকল যাওয়ার পথে যে সরু পথ রয়েছে, তার উভয় পাশের নাম শুভলং। সদর থেকে শুভলং জলপ্রপাতের দুরত্ব ২৫ কিলোমিটার। জলপথের উভয় পাশে রয়েছে উঁচু উঁচু পাহাড়। এসকল পাহাড় থেকে প্রায় ৮টি ছোট-বড় ঝর্না রয়েছে। এর ভিতরে শুভলং সবচেয়ে বড় ঝর্না।
সৌন্দর্য্যে শুভলং ঝর্ণা
প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে জল ভূমিতে পতিত হয়েছে। এই প্রপাতটির মূল অংশ একটি উচ্চ ভূমিতে সরাসরি পতিত হয়ছে। পরে এই জলরাশি পাহাড়ি সোপান বেয়ে জলের চাদরের মতো পাহাড়ের গা বেয়ে নিচে নেমে এসেছে। এই জলরাশি কাপ্তাই হ্রদে গিয়ে মিশেছে। এই জলপ্রপাত একটি ক্ষীণধারার ঝর্ণায় পরিণত হয় শুষ্ক মৌসুমে ।
কাপ্তাই লেক ধরে শুভলং ঝর্ণায় যাওয়ার পথে দেখা যাবে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।মাথার উপর ঝক ঝকে নীল আকাশ, নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড়। আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস।নদী থেকে মাছ তুলে জ্যান্ত মাছ ডিঙি নৌকায় ফেলছেন জেলেরা।
শুভলং ঝর্ণার কাছাকাছি শিলার পাড় এলাকায় থাকেন শুভলং ঝর্ণার ইজারাদার নিরঞ্জন চাকমা (জয়)।
কিভাবে যাবেন
জলপ্রপাতে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে রাঙ্গামাটি আর শুভলং ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার সহজ উপায় হলো- রাঙ্গামাটি সদর থেকে নৌযানে যাওয়া। ঝরনায় প্রবেশ মূল্য ১৫ টাকা জনপ্রতি।
Add comment