ইতিহাসের পাতায় যতই না সমাজ এবং জীবনধারার বিবরণ দেয়া হোক শিল্প এবং সংস্কৃতির ছাড়া পুরোপুরি তার উপলব্ধি পাওয়া যায় না। একটি সমাজের সংস্কৃতি এবং নিয়ম অনুভব করা যায় তার শিল্প দেখে। রঙ তুলির চিত্র, ভাস্কর্য, সঙ্গীত, সাহিত্য এবং অন্যান্য ধরনের শিল্পরস দিয়েই একটি সমাজকে বোঝা যায়। শিল্প প্রায়ই সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যম হয়ে দারায়। এর দ্বারা রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে বঞ্চিত মানুষ তাদের কণ্ঠ খুঁজে পায়। তাই শিল্প এবং সংস্কৃতি একটি সমাজের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইতালির সাংস্কৃতিক মহিমা | চীনের প্রবীণতম অবিচ্ছিন্ন মানব সভ্যতা | মেক্সিকোর “ভিন্ন শহর” | লাগস এর শিল্প ও সঙ্গীত
এই আর্টিকেলে রয়েছে পৃথিবীর শিল্প এবং সংস্কৃতির জন্য কয়েকটি সেরা গন্তব্য। এই জায়গাগুলো ঘুরে পুরানো দিনের মানুষের জীবনধারার সম্পর্কে জানা যায় এবং শিল্পের মাধ্যমে তা অনুভব করা যায়।
ইতালি
রোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল এবং রেনেসাঁর উৎপত্তিস্থান হচ্ছে ইউরোপের ইতালি। এই দেশটি ইউরোপিয় শিল্প ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। এখানে দাঁড়িয়ে আপনি দেখতে পারবেন মাইকেলাঞ্জেলোর ‘ডেভিড’ এবং ‘সিস্তিন চ্যাপেল’ ফ্রেস্কো, বতিচেলির (Botticelli) ‘বার্থ অফ ভেনাস’, ‘প্রিমাভেরা’ এবং দ্যা ভিঞ্চির ‘দা লাস্ট সাপার’।
চীন
চীনের আধুনিক চিত্র চমকপ্রদ কিন্তু চীনের আকর্ষণ শুধুমাত্র এটাই নয় । বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো মানবসভ্যতা শুধুমাত্র স্মোকড গ্লাস এবং ব্রাশড অ্যালুমিনিয়াম নয়। আপনি গিয়ে শুধু পুরানো নিদর্শন দেখবেন না কারণ তিন দশকের রাউন্ড-দা-ক্লক উন্নয়ন এবং ত্বরিত শহর পরিকল্পনা করে তারা পরিশ্রান্ত। তবুও দেশটি পুরাকীর্তি দিয়ে সমৃদ্ধ। চীনের শিল্প ও সংস্কৃতি সারা দুনিয়া থেকে অনন্য।
সান্তা ফে, মেক্সিকো
সান্তা ফে, মেক্সিকো, যার আরেক নাম “ভিন্ন শহর”। মিশন (ধর্মীয় ফাঁড়ি), জাদুঘর এবং ‘ম্যাও উল্ফ’ হল এই শহরের মুল আকর্ষণ। এটি এমন একটি জায়গা যা চলে তার নিজের নিয়মে। এমন একটি শহর যা ভুলে যায়না এর ঐতিহ্য এবং সঞ্চিত অতীত। শৈল্পিক ইট এর তৈরি এলাকার মাঝ দিয়ে অথবা মূল আকর্ষণ সেই ব্যস্ত প্লাজার পাশ দিয়ে হেটে গেলে বোঝা যায় যে সান্তা ফের মধ্যে লুকিয়ে আছে একটি নিরন্তর ও জাগতিক আত্মা। এই শহরের শৈল্পিক চরিত্রই এর মূল বৈশিষ্ট্য। এখানে এতগুলো মানসম্মত জাদুঘর এবং গ্যালারি রয়েছে যে একবারে সব দেখা অনেকের জন্যই সম্ভব নয়।
লাগস, নাইজেরিয়া
লাগস কে বলা হয় নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পাওয়ারহাউস। এর প্রধান কারন তেলের অর্থের আগমন। লাগস এর শৈল্পিক ও সঙ্গীত এর সমৃদ্ধ সংস্কৃতিতে ডুবে গেলে খুব সহজেই সময় কেটে যায়। আর নাইজেরিয়াতে গেলে এই উচ্ছ্বাসময় পরিবেশে ডুবে না যাওয়া অসম্ভব।
কন্টেন্ট রাইটার- রায়া
Add comment