রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা তে……. না শেষ করতে পারবেন না!
কারণ পাহাড়ে ঘেরা কাপ্তাইয়ের প্রতিটি কোণে আপনি পেয়ে যাবেন মুগ্ধতা। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা, সুউচ্চ পাহাড়ে ফুটে থাকা পাহাড়ি ফুল, সবুজে ঘেরা প্রকৃতি। রূপে ভরা রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের প্রতিটি পর্বেই পাঠকের জন্য রয়েছে কাপ্তাইয়ের উপভোগ্য স্থানসমূহের বর্ণনা। চলুন পাঠক তাহলে আজ কি আছে জেনে নেই।
সৌন্দর্য্যে ভরা রাঙামাটির কাপ্তাই
বেরাইন্যা
কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়নি এমন পর্যটক খুজে পাওয়া আসলেই দুষ্কর। তবে লেকের পানিতে ঘুরে বেড়ানো কিংবা লেকের মাছ খায়নি এমন দূর্ভাগা পর্যটক নিশ্চয়ই আছেন। তবে এই বেরাইন্ন্যা আপনার জন্যই। প্রকৃতির রূপের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে উঠেছে কাপ্তাইয়ের এক একটি পর্যটনকেন্দ্র। লেকের সৌন্দর্য্য একদম কাছ থেকে উপভোগ করতে চাইলে চলে আসতে পারেন এখানে। ২০১৮ সালে গুটি গুটি পা ফেলে যাত্রা শুরু হয় বেরাইন্ন্যার তবে খুব অল্প সময়েই পর্যটক আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় এটি। কায়াকিং করার সুবিধাও পাবেন আপনি এখানে। চাইলে বোট ভাড়াও করে নিতেন পারেন ঘন্টা হিসেবে।
বরগাং
কাপ্তাইয়ের পাহাড়ের ঘেরা আরো একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে বরগাং। বেরাইন্ন্যা ঘুরেই আপনি চলে যেতে পারবেন বরগাং এ। পাহাড়ি ঐতিহ্যে ঘেরা সৌন্দর্য্য কে নিজের মধ্যে যেন সাজিয়ে নিয়েছে এটি। লেকের সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি কায়াকিং, বোটে ঘুরাঘুরি, লেকের মাছ,পাহাড়ি খাবার আরো নানান আকর্ষণ রয়েছে এতে।
বেরাইন্যা এবং বরগাং ঘোরা শেষ হলে আপনি বোটে করেও কাপ্তাই লেক উপভোগ করে কাপ্তাই চলে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কাপ্তাই জেটিঘাটে নামতে হবে। সেখানে থেকে কাপ্তাই বাজার হেটে আসতে মাত্র ১০মিনিট সময় লাগবে অথবা সিএনজিও পেয়ে যাবেন বাজারে আসার জন্য।
যেভাবে আসবেন
চট্টগ্রাম, কাপ্তাই হয়ে আসলে আপনাকে কাপ্তাই বাজারে নামতে হবে। এরপর কাপ্তাই বাজার থেকে সিএনজি নিয়ে রওনা করতে হবে। সিএনজি রিজার্ভ করে নিলে ভাড়া পড়বে ৫০০-৫৫০টাকা। আর যদি লোকাল যেতে চান সেক্ষেত্রে ৯০-১০০টাকা। আর যদি রাঙামাটির আসাম বস্তি হয়ে আসেন সেক্ষেত্রে আসাম বস্তি থেকেও রাঙামাটি কাপ্তাই লিংক রোড এর সিএনজি পেয়ে যাবেন। সময় লাগবে ২০-৩০মিনিট। বেরাইন্ন্যা ঘুরে বরগাং কিংবা বরগাং ঘুরে বেরাইন্ন্যা চলে যেতে পারবেন। দুটির মধ্যবর্তী দুরত্ব ৫-১০মিনিট।
লেকভিউ আইল্যান্ড
বোট থেকে জেটিঘাটে নামার পর আপনি আবার বোটে করে চলে যেতে পারেন লেক ভিউ আইল্যান্ডে। ২০১৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় লেকভিউ আইল্যান্ডের। নিজস্ব বোটব্যবস্থাও রয়েছে এখানে তাদের। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০টাকা।মনোরম পরিবেশে লেক উপভোগ করার পাশাপাশি সুইমিংপুলে গা এলিয়ে দিয়ে আপনি প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারবেন।নীলকৌড়ি নামক এক বিশাল বজরা নৌকা পেয়ে যাবেন আপনি এখানে। সাম্পান থেকেই এই বজরার মূল নকশার ধারণা নেওয়া হয়েছে। থাকার পর্যাপ্ত সুব্যবস্থাও রয়েছে এতে এবং এর পাশাপাশি কায়াকিং করার ব্যবস্থাও এখানে রয়েছে।
বুকিং দিতে চাইলে
জায়গাটি সম্পুর্ণ নিজেদের জন্য কিংবা পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের জন্য বুকিং দিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে কথা বলে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ভাড়া এবং সময় আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হয়। বজরা ভাড়া নিতে চাইলে পুরো দিন কিংবা ঘন্টাপ্রতি ৩০০০ টাকায়ও ভাড়া নিতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে আলাদা আলাদা কটেজ। সেনাবাহিনীর আওতাধীন এই স্পটে আপনি পেয়ে যাবেন নানান সুবিধা এবং আকর্ষণীয় সুব্যবস্থা।
তবে ভ্রমণের সময় অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার দ্বারা পরিবেশ কিংবা সেখানকার মানুষজনের কোন ক্ষতি সাধিত না হয়। নিজে ভ্রমণ করুন এবং অন্যকে ভ্রমণ করার সুযোগ করে দিন।
কন্টেন্ট রাইটারঃ শাহীন সুলতানা
Add comment