যশোরেশ্বরী কালী মন্দির হিন্দু ভক্তদের জন্য বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত মন্দির। এ শক্তিপীঠটি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত।
শক্তিপীঠ খ্যাত যশোরেশ্বরী কালী মন্দির
যশোরেশ্বরী নামের অর্থ “যশোরের দেবী”। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান।
যশোরেশ্বরী কালী মন্দির এর ইতিকথা
মন্দিরটি আনারি নামের এক ব্রাহ্মণ কর্তৃক নির্মিত হয়। তিনি এই যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠের ১০০টি দরজা নির্মাণ করেন। কিন্তু মন্দিরটি কখন নির্মিত হয় তা জানা যায়নি। পরবর্তীকালে লক্ষ্মণ সেন ও প্রতাপাদিত্য কর্তৃক তাদের রাজত্বকালে এটির সংস্কার করা হয়েছিল।
মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী
মূল মন্দির সংলগ্ন স্থানে নাটমন্দির নামে একটি বৃহৎ মঞ্চমণ্ডপ নির্মাণ করা হয়েছিল। লক্ষ্মণ সেন কর্তৃক ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু কারা এটি নির্মাণ করেছিল তা জানা যায়নি। যেখান হতে দেবীর মুখমণ্ডল দেখা যায়, এটি ১৯৭১ সালের পর ভেঙে পড়ে। এখন শুধুমাত্র স্তম্ভগুলি দেখা যায়।
মন্দির সম্পর্কে ধারণা
সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগ করলে মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে বিষ্ণু দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখণ্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়।
৫১টি শক্তি পীঠের মধ্যে যশোরেশ্বরী মন্দির একটি। ভারত ও ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এই পীঠগুলো ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি পীঠ রয়েছে বাংলাদেশে।
এই ৫১টি পীঠের মধ্যে যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরটি হলো সেই পীঠস্থান, যেখানে দেবী সতীর হাতের তালু ও পায়ের পাতা এসে পড়েছিল বলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ধারণা করে থাকেন।
Add comment