পাহাড় এবং তার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত , খুব চমকপ্রদ ব্যাপার তাই না? ঠিক এমনই একটি রহস্যময়ী সৌন্দর্য নিয়ে পর্যটনলিপির আজকের পর্ব। ‘মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত’ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত। এটি মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং সিলেট থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
মায়াবী মাধবকুন্ড জলপ্রপাত
পূর্ব গল্প
একসময় আদম আইল পাহাড় নামে পরিচিত এই পাহাড় কঠিন পাথরে গঠিত এবং এই পাহাড়ের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গঙ্গামারা ছড়া। ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ সালের এক তথ্য অনুযায়ী গঙ্গামারায় প্রবাহিত হয়ে যাওয়া জলধারা প্রায় ১৬২ ফুট উচ্চতা থেকে মাধবছড়া দিয়ে প্রবাহিত হয় এই জলপ্রপাত।
সৌন্দর্য ও প্রবাহ
জলপ্রপাত প্রায় ৮৩ মিটার উচু পাহাড়ের উপর থেকে জলরাশি অবিরাম ধারায় নিচে পড়ছে। বিরামহীন এই জলরাশি পতনের ফলে সৃষ্ট কুন্ডের প্রবাহ শান্তির বারিধারার মতো। বর্ষাকালে মূল ধারার পাশে আরেকটি ছোট ধারা তৈরি হয় আর এই জলের বিপুল ধারা নিচে পড়তে পড়তে বিরাট কুন্ডের সৃষ্টি হয়। পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে এই পানি মিশে যায় হাকালুকি হাওড়ে ।
কাব
মাধবকুন্ডের ডানপাশে পাথরের গায়ে সৃষ্টি হয়েছে কাব নামক একটি গুহার। কিছুটা চালাঘরের মতো দেখতে এই কাবের নিচে দাঁড়িয়ে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে ভিজা কাপড় পরিবর্তন করে থাকেন।
কিভাবে যাবেন মাধবকুন্ড জলপ্রপাত
ঢাকা থেকে যাতায়াতের জন্য সহজ উপায় হবে বাস আর এক্ষেত্রে সরাসরি মৌলভীবাজার যাওয়া ভালো হবে । ‘মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত’ যেতে হলে প্রথমেই আপনি মৌলভীবাজার থেকে অটোরিক্সা যোগে চলে যান বড়লেখা। তারপর সেখান থেকে চলে যান মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক গেইট। আর আপনি যদি ট্রেইনে করে আসেন তাহলে আপনাকে নামতে হবে কুলাউড়া ষ্টেশনে, তারপর সেখান থেকে আপনি চলে যান মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক গেইট। গেইট থেকে ১০ – ১৫ মিনিট হাঁটলেই আপনি পেয়ে যাবেন সেই আশ্চর্য সৌন্দর্যের নিদর্শন ‘মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত’।
বরাবরের মত এবারো বলে রাখি, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ঘুরতে এসে এখানকার পরিবেশের কোন ক্ষতি করবেন না। সাথে কোন প্যাকেট কিংবা প্লাস্টিকের বোতল থাকলে তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।
কন্টেন্ট রাইটারঃ তাসনিয়া মাহবুব তৈশী
This place are very interasting.
জায়গাটা অনেক সুন্দর।
Very nice story. Thanks for the article.