বাঙালী খাবার এবং মিষ্টি যেন একে অপরের সম্পূরক। যেকোনো খুশির মুহূর্তে খাবারের তালিকার সবার ওপরে স্থান দেয়া হয় সকল দামী মিষ্টি মণ্ডার।
ঐতিহ্যে বাঙালী খাবার ও মিষ্টি
মিষ্টি ছাড়া যেন বাঙালির অতিথি আপ্যায়ন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সকল দামী মিষ্টির মধ্যখানে এক প্রকারের মিষ্টি হল খুবই চিরাচায়িত, আর সেটি হল সাদা মিষ্টি অথবা সাদা স্পঞ্জ রসগোল্লা। আজকে আমরা জানব এই সাদা মিষ্টি তৈরির উপকরণ এবং রন্ধন প্রণালী।
কিভাবে তৈরি হয় সাদা মিষ্টি
সাদা মিষ্টি দেখতে যেমন ধবধবে সাদা, প্রধান উপকরণও দুধের সাদা ছানা। ওজন যন্ত্রের সাহায্যে দুধের ছানা, ময়দা এবং চিনি পরিমাণমত মেপে নিলে মিষ্টি তৈরির মণ্ড সুন্দরভাবে তৈরি করা যায়। সবগুলো উপাদান হাত দিয়ে ভালভাবে মথে নিলে মিষ্টির গায়ে ফাটল ধরবে না এবং দেখতে সুন্দর হবে। মণ্ড তৈরি হয়ে গেলে ছোট ছোট গোল্লা বানিয়ে হাতের তালুতে বেলে নিয়ে গোলাকার মিষ্টি তৈরি করতে হয়। আকার দেয়ার পর আসে ভাজার পালা। গরম তেল নয়, সাদা মিষ্টি ভাজা হয় আগে থেকে তৈরি করে রাখা চিনির সিরায়। সাদা মিষ্টি যেন ভাল করে সিদ্ধ হয়, তার জন্য আগুনের তাপ প্রয়োজন বেশি। সিদ্ধ চলাকালীন সময়ে চিনির সিরার গাঁদ জমে ওঠে, যেগুলো মাঝে মাঝে সরাতে হয়। আলাদা জমিয়ে রাখতে হবে কিছু সিরা যেগুলো নিয়মিত বিরতিতে চুলার গরম সিরাতে দেয়া হবে। গরম তাপে মিষ্টি যেন পুড়ে শক্ত না হয়, সেজন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের এই কৌশল। সাদা মিষ্টি এবং রসগোল্লার রন্ধন প্রক্রিয়া অনেকটা এক হলেও তফাতটা স্বাদ আর রসে। রসগোল্লার রস দেখতে কিছুটা পাতলা, আর সাদা মিষ্টির রস কিছুটা ঘন। কড়াইয়ের সিরায় সাদা মিষ্টি জ্বাল দেয়া হয় ৩০-৪৫ মিনিটের মত। ঠিকমত রান্না হয়ে আসলে পাত্রে নামিয়ে পরিবেশন করা যায়।
সাদা মিষ্টির জনপ্রিয়তা
বাংলাদেশ ছাড়াও এই সাদা মিষ্টির জনপ্রিয়তা দক্ষিণ এশিয়ার দেশে দেশে। সুস্বাদু এই সাদা মিষ্টি মিলবে ঢাকা শহরের যেকোনো মিষ্টির দোকানে। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে বালাশুর এবং ভাগ্যকুলের মিষ্টির দোকানগুলোতে মিলবে সুস্বাদু এবং মজাদার সাদা মিষ্টি, রসগোল্লা সহ লাড্ডু এবং আরও অনেক পদের মিষ্টি এবং দধি।
Add comment