বাংলাদেশের বিখ্যাত মসজিদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বর্ণনার ধারাবাহিকতায় আজকে আলোচনা করবো বাঘা শাহী মসজিদ নিয়ে। বাঘা শাহী মসজিদ বাংলাদেশের অন্যতম এক ঐতিহাসিক নিদর্শন।
ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদ
অবস্থান
এই মসজিদটি রাজশাহী শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে বাঘা উপজেলায় অবস্থিত। ১৫২৩ সালে সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে এটি নির্মাণ করেন। মসজিদের আয়তন ২৩.১৬ × ১২.৮০ বর্গ মিটার এবং গম্বুজ সংখ্যা ১০ টি।
প্রেক্ষাপট
বাঘা উত্তর বঙ্গের এক প্রাচীনতম নগরী। ইতিহাস পর্যালোচনা এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে এর সত্যতা প্রমাণিত হয়। পদ্মার উপকূলবর্তী এই প্রাচীন নগরীতে রয়েছে ঐতিহাসিক ‘‘শাহী মসজিদ’’ যার শিলালিপি, কারুকাজ ভ্রমনপ্রেমী মানুষদের আকৃষ্ট করে। বহুযুগ ধরে স্থানটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং সর্বসাধারণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। দলিল দসত্মাবেজ থেকে জানা যায় ১৫২৩-১৫২৪ খ্রিষ্টাব্দে (হিজরী ৯৩০) হোসেন শাহ এর পুত্র নুসরাত শাহ মসজিদটি নির্মাণ করেন।
আকর্ষণ
মসজিদের ভিতরে অবস্থিত বিশাল এক দীঘি। যা মসজিদটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় আরও বেশি। দীঘির পানি খুবই স্বচ্ছ এবং এর চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি দ্বারা সুসজ্জিত। শীতকালে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে বহু অতিথি পাখি এই দীঘিতে ভীড় জমায়। যার মনোরম দৃশ্য এবং মসজিদের স্বকীয় প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ও এর কারুকাজ ভ্রমনপ্রেমী মানুষদের পাথেয় হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এখানে আরও আছে অসংখ্য শাহ সুফীদের পবিত্র কবর এবং মাজার শরীফ।
কিভাবে যাবেন বাঘা শাহী মসজিদ
বাঘা যাওয়ার জন্য রাজশাহী বাস টার্মিনাল থেকে বাস পেয়ে যাবেন। জনপ্রতি বাসে ভাড়া লাগতে পারে ৩০ অথবা ৪০ টাকা। এছাড়া সিএনজি বা অটো রিজার্ভ করেও যেতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটারঃ তাসনিয়া মাহবুব তৈশী
Excellent work