Porjotonlipi

দেশের পর্যটন শিল্পে বিরাট ধস

দেশের পর্যটন শিল্পে বিরাট ধস নেমে এসেছে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হল কক্সবাজার, যেখানে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে। এখানে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এসব হোটেলের দৈনিক ধারণক্ষমতা দুই লাখের বেশি। ছুটির দিনে এখানে প্রতিদিন লাখ লাখ পর্যটক আসেন। এখন সব হোটেল-মোটেল খালি। ৩০০০ এর বেশি দোকানপাট এবং ৫০০টিরও বেশি রেস্তোরাঁয় নেই বিক্রি৷ সৈকতের আশপাশের দোকানগুলোও বন্ধ আছে।

দেশের পর্যটন শিল্পে ধাক্কা

জুলাইয়ের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে চিন্তিত পর্যটন শিল্প। সংঘর্ষ শুরু হলে একের পর এক সব বুকিং বাতিল করা হয়। এরপর শুরু হয় কারফিউ। এ অবস্থায় ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল/মোটেল রেস্তোরাঁ ও সংশ্লিষ্ট শিল্পের শতাধিক ব্যবসায়ী লোকসানের মুখে পড়েছেন। বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহ কমছে। কর্তৃপক্ষের মতে, করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরে পর্যটন শিল্পে আবারও বড় পরিসরে আঘাত হেনেছে। এই সেক্টরে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ সরাসরি কাজ করে।

বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (আটাব), প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পর্যটন খাতই প্রথম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং খাতটির পুনরুদ্ধারও হয় সর্বশেষে। পুরো সেক্টর এখন হুমকির মুখে। গণপরিবহন স্বাভাবিকভাবে চলছে না, ট্রেনও চলছে না। এমনকি ৬০-৭০ শতাংশ ছাড় দিয়েও, হোটেল এবং রিসোর্টগুলি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে না। পর্যটন খাতে ১১৯টি শিল্প সক্রিয় রয়েছে। তাই আর্থিক দিক দিয়ে এ খাতের ক্ষতি অনুমান করা কঠিন।

 

 

Porjotonlipi Desk

Add comment