আমরা সবাই জানি যে ভ্রমন যে কোন মানুষের মনে এক ধরণের প্রশান্তি এনে দেয়। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা এই ব্যস্ত জীবনে পর্যাপ্ত সময় ও অর্থের অভাবে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন না। এতে করে আপনার দৈনন্দিন জীবনে চলে আসে এক ধরনের একঘেয়েমি ভাব।
মৈনট ঘাট ভ্রমণ
কিন্তু আপনার আশেপাশেই যদি থাকে এমন কোন স্থান যেখান থেকে আপনি চাইলেই স্বল্প সময় ও খরচে ঘুরে আসতে পারবেন? বন্ধুরা মৈনট ঘাট সত্যিই এমন একটি জায়গা। মৈনট ঘাট ভ্রমণ এমন একটি ভ্রমণ যেখানে আপনি পাবেন নদীর মুক্ত হাওয়া ও তার চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। নবাবগঞ্জের দোহার উপজেলায় এই মৈনট ঘাটের অবস্থান। প্রমত্তা পদ্মার বুকে নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ানোর অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম। ইদানিং অনেকের কাছেই এই জায়গার নামটি বেশ পরিচিতি পেয়েছে।
এখনো যদি আপনি গিয়ে না থাকেন তাহলে নিজ চোখে একবার দেখে আসতে পারেন এর অপরূপ সৌন্দর্য। মৈনট ঘাট যেতে হলে ঢাকার গুলিস্তান থেকে আপনাকে বাসে উঠতে হবে। গোলাপ শাহ্ এর মাজারের সামনে থেকে যমুনা ডিলাক্স এবং এন. মল্লিক পরিবহনে যেতে পারেন। তবে এন. মল্লিক পরিবহনে গেলে আপনাকে নামতে হবে মাঝিরকান্দা। এরপর সেখান থেকে অটোতে চড়ে কার্ত্তিকপুর এবং সেখান থেকে আবার অটো ভাড়া করে সরাসরি মৈনট ঘাট। তবে ফেরার সময় অবশ্যই যমুনা ডিলাক্সে ফিরবেন, কারন আপনি সেখান থেকেই ওই বাসে উঠতে পারবেন। আর খাওয়া দাওয়ার জন্য সেখানে বেশ কিছু মাঝারী মানের হোটেল রয়েছে। খাবারও বেশ ভাল মানের, আর প্রায় সব হোটেলেই পদ্মার ইলিশ তো রয়েছে।
সর্বোপরি মৈনট ঘাটে আপনি পাবেন একটি নদীর সম্পূর্ণ সৌন্দর্য, যা ঢাকার আশেপাশে নেই বললেই চলে। আর মৈনট ঘাটের সূর্যাস্ত কিন্তু অবশ্যই দেখে আসবেন এবং আশপাশের এলাকাগুলোও ঘুরে দেখবেন। আর ভ্রমনকালীন সময়ে অবশ্যই পরিবেশ নোংরা করা থেকে বিরত থাকবেন এবং সকলের জন্য ভ্রমনযোগ্য পরিবেশ বজায় রাখার চেস্টা করবেন। ভ্রমন করুন, বাংলাদেশকে জানুন। আর বাংলাদেশকে দেখতে পর্যটনলিপির সাথেই থাকুন।
মৈনট আসলেই একদিনে ঘুরতে যাবার মত দারুন একটা জায়গা।