তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্বিক সম্পদ। অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রকৃতির লীলিভূমির জেলা সাতক্ষীরা। তবে এই জেলার মোট আয়তনের এক তৃতীয়াংশ জুড়ে আছে সুন্দরবন যা বিশ্বপ্রাকৃতিক ঐতিহ্যের এক লীলাভুমি ও ম্যানগ্রোভ বন। এই সুন্দরবন বাদেও এক অনন্য নিদর্শন রয়েছে এই জেলাতে যার নাম তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ ।
তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ ও তার ইতিকথা
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে আগ্রার তাজমহলের অপরুপ নির্মাণশৈলীকে সামনে রেখে সালাম মঞ্জিলের প্রতিষ্ঠাতা বৃটিশ সরকারের সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট জমিদার কাজী সালামদুল্লাহ মসজিদ টি নির্মান করেন। ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় । মসজিদটি সিকান্দার আবু জাফর সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি বাংলাদেশের সরকারের প্রত্নতত্ম অধিদপ্তর প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করেছে।
মসজিদের নামাজ ব্যবস্থা
মসজিদের বাইরের চত্বরে ১শ ৭৫ জন নামাজী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে এবং মসজিদের ভিতরে ৫টি সারিতে ৩শ ২৫জন নামাজ আদায় করতে পারে।
তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ এর কলাকৌশল
চুনসুরকি ও চিটাগুড়ের গাঁথুনিতে নির্মিত মসজিদটিতে রয়েছে ৭ টি দরজা । প্রতিটি দরজার উচ্চতা ৯ ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুট । দরজার উপর রয়েছে বিভিন্ন রঙ্গের কাঁচের ঘুলঘুলি। এছাড়াও মসজিদটিতে রয়েছে ১৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ৬ টি বড় গম্বুজ, ৮ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ১৪টি মিনার রয়েছে। ২৫ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট চার কোনে ৪টি মিনার এবং ভিতরে রয়েছে দুইটি পিলার। ১০ বর্গফুট বেড় বিশিষ্ট ১২ টি পিলারের উপর মসজিদের ছাদ নির্মিত। মসজিদটির পাশে রয়েছে একটি সুগভীর পুকুর। পুকুরের তলদেশে থেকে সিঁড়ি উঠে গেছে মসজিদ চত্বরে।
যাতায়াত ও পরিবহণ
তালা উপজেলা সদর হতে ৩/৪ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত এই মসজিদে ইঞ্জিন চালিত যানবাহনে করে ১০/১৫ মিনিট সময় লাগে। পৌঁছানোর জন্যে ব্যয় হবে ৩৫ টাকা।
Add comment