মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান, কেননা এখানে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর ঐতিহাসিক সেই শপথ গ্রহণের স্মৃতিকে অম্লান করে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে শপথ গ্রহণের স্থানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর
এর পাশাপাশি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টরকে উক্ত কমপ্লেক্সে একটি মানচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। তাছাড়া এই কমপ্লেক্স মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলীর স্মারক ম্যূরাল স্থাপন করা হয়েছে, যা এই কমপ্লেক্সের গুরুত্ব বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। সার্বিকভাবে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, ঐতিহাসিক আম্রকানন, ঐতিহাসিক ছয় দফার রূপক উপস্থাপনকারী ছয় ধাপের গোলাপ বাগান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক জীবন্ত প্রদর্শন হিসাবে বিবেচিত হবার দাবী রাখে।
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভিতরের অংশে মুক্তিযুদ্ধকালীন কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। স্মৃতি কমপ্লেক্সের বাইরের অংশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ এবং পাকিস্থানি বাহিনীর আত্নসমর্পণ এর দৃশ্যসহ আরও ঐতিহাসিক ঘটনার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ভাস্কর্যগুলির কয়েকটি এখানে দেওয়া হলো। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত উক্ত ভাস্কর্যগুলি যেকোন বিদগ্ধ পর্যটককে আকর্ষণ করবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন সেক্টরের অবস্থান বাংলাদেশের মানচিত্রে প্রদর্শন করে মানচিত্রটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরস্থ মূল আঙ্গিনায় স্থাপন করা হয়েছে। সুদৃশ্য এ মানচিত্রটি মুক্তযুদ্ধকালীন বিভিন্ন সেক্টরের অবস্থান ও উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী সম্পর্কিত এক প্রমাণ্যচিত্র।
যারা এখনো মুজিবনগর আসেননি তারা আশা করছি খুব শীঘ্রই একবার হলেও এসে ঘুরে যাবেন এবং জানতে পারবেন মুক্তিযুদ্ধের নানা জানা-অজানা ইতিহাস।
আবাসন ব্যবস্থাঃ
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পর্যটন করপোর্রেশনের হোটেল রয়েছে, সেখানে আবাসনের বেশ সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও জেলা পরিষদের কর্তৃক পরিচালিত ডাকবাংলোয় কয়েকটি ভি আই পি কক্ষ রয়েছে, চাইলে সেখানেও থাকা যেতে পারে। অন্যদিকে মেহেরপুর শহরে সার্কিট হাউজসহ অন্যান্য আবাসিক হোটেলে আবাসনের সুব্যবস্থা রয়েছে।
কিভাবে যাবেন ঐতিহাসিক মুজিবনগর (আম্রকানন)
সড়ক পথে মেহেরপুর শহর থেকে আম্রকাননের দূরত্ব প্রায় ১৮ কি.মি. এবং সেখানে আপনি বাস কিংবা অটোরিক্সায় চেপে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।
[…] মেহেরপুর জেলা সদর থেকে ১৮ কি.মি. দূরে। মুজিবনগর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ণ […]