Porjotonlipi

ইফতার আয়োজন – যেখানে নেই কোন ভেদাভেদ

ইফতার আয়োজন রমজান মাসের এক মূল আকর্ষণ। ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা কিন্তু রোজা রমজানেও ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে থাকে। তার মধ্যে অনেকে আছেন যারা বিভিন্ন মসজিদে কিংবা জনসমাগম পূর্ণ স্থানে ইফতার করতে ছুটে যান। পর্যটনলিপির আজকের আয়োজন থাকছে তাদের জন্যেই।

ধনী-গরীব এর ভেদাভেদ মিটানো ইফতার

চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে প্রতিবছর রমজানের শুরুর দিন থেকে দৈনিক দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ ইফতার করেন। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মসজিদে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। রোজাদারদের জন্য সকাল থেকে বিভিন্ন ইফতারি তৈরি করেন বাবুর্চিরা। পরে বিকেল থেকে মসজিদের এক পাশে লম্বা টেবিলে থরে থরে সাজানো গামলা থেকে প্লেটে প্লেটে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, মুড়ি আর জিলাপি বেড়ে রাখেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। এরপর আস্তে আস্তে সেখানে হাজির হন রোজাদারেরা। সারিবদ্ধভাবে তাঁরা বসেন মসজিদ প্রাঙ্গণে। মসজিদের মুসল্লি ও খাদেমরা জানান, মসজিদটি তৈরির পর থেকেই রোজায় ইফতারের আয়োজন চলছে। তবে বড় পরিসরে গণ-ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে ২০০৮ সাল থেকে। আর সেই থেকে এখনো চলে আসছে এ আয়োজন।

ইফতার আয়োজন যা থাকে

নানান প্রকারের ইফতার তৈরি করা হয় এখানে আগত রোজাদারদর জন্যে। পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা-মুড়ি, শরবত, জিলাপি।

ইফতার আয়োজন এর ব্যবস্থাপনা

এত বিরাট ইফতার আয়োজন সামলানোর জন্যে থাকে কয়েকশ লোকের এক বহর। স্বেচ্ছাসেবী থেকে শুরু করে বাবুর্চি, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম তারা সকলেই কাধে কাধ মিলিয়ে জমিয়ে তোলেন এই ইফতার। বিভিন্ন স্তরের মানুষ এখানে ভেদাভেদ ভুলে একই পাত্রে একই ইফতার খেয়ে থাকে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে ডাক্তার সকল পেশার রোজাদারের জন্যে এই আয়োজন। এখানে দেখা হয়না কোনো সামাজিক মর্যাদা। বরং সকল রোজাদারই হচ্ছেন এই মসজিদের মেহমান।

যেভাবে যাবেন

চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে সিএনজি কিংবা টেম্পু করে চলে যেতে পারবেন আপনি আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদে। আজানের সুরে রাস্তা খুঁজে নিতে মোটেও কষ্ট হবেনা। তাছাড়া চাঁট-গা বাসী তো আছেনই আপনাকে পথ খুঁজে দিতে।

 

শাহীন সুলতানা

Add comment