আরমানিটোলা বাংলাদেশের পুরাণ ঢাকার একটি স্থান। আরমানিটোলা ময়দানেই বাংলাদেশের আওয়ামী মুসলিম লিগের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১১ অক্টোবর ওইদিন সেখানে এক বিশাল সমাবেশ একত্রিত হয় এবং মুসলিম লিগের কর্মচারিরা সেখানে বাধা দেয়া শুরু করে।
আরমানিটোলা র ইতিহাস
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওইদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর কথা অমান্য করেই মুসলিম লিগের কর্মিরা বাধা দিতে থাকে। এই আরমানিটোলার ঘটনা আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ হতে অনেকটাই এগিয়ে দেয়।
আরমানিটোলা এলাকার আকর্ষণ
আরমানিটোলা বাংলাদেশের পুরাণ ঢাকার একটি স্থান। এই স্থানকে আরও আকর্ষনিয় করে তুলেছে আরও কিছু স্থাপনা। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছেঃ
১. আরমেনিয়ান গির্জা
২. তাঁরা মসজিদ
আরমেনিয়ান গির্জার ইতিহাস
১৮শ খ্রিস্টাব্দর দিকে এই বাংলাতে আরমানিয়ান দের আগমন ঘটে। তারা মুলত এই স্থানে এসেছিল পাট বানিজ্য করতে। আরমেনিয়ান গির্জা যেখানে অবস্থিত সেখানে আগে একটি আরমেনিয়ান দের কবরস্থান ছিল। পরে ১৭৮১ সালে ওই কবরস্থান থেকে এই আরমেনিয়ান গির্জা স্থাপিত হয়।
১৯৯৬ সালে যখন মাদার তেরেসা বাংলাদেশে আসেন, তখন তিনি এই আরমেনিয়ান গির্জাতে ছিলেন। বর্তমানে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে এটি সংরক্ষিত আছে। আরমানিটোলা এই নামকরণ হয় এই আরমেনিয়ান গির্জা থেকেই।
তাঁরা মসজিদের ইতিহাস
১৯শ খ্রিস্টাব্দর দিকে, মুগোল সাম্রাজ্যের অনুকরণে, মির্জা গোলাম এই তাঁরা মসজিদ তৈরী করেন। ২০ং খ্রিস্টাব্দর শুরুর দিকে এই মসজিদ পুনরায় সংস্করণ করা হয় এবং তখনই সেখানে চায়না থেকে মোজাইক এনে যার নাম ‘চিনি টিক্রি মোজাইক’ এর বাহিরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করণে ব্যবহার করা হয়। চিনি টিক্রি এই মোজাইক তাঁরা মোজাইকে পাওয়া যায় বলে এই মসজিদের নাম তাঁরা মসজিদ দেয়া হয়। ১৯৮৭ সালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই মসজিদের মূল নামাজের স্থান বৃদ্ধি করে এবং আরও দুইটি গম্বুজ তৈরি করে।
প্রবেশ পথ
তাঁরা মসজিদে প্রবেশের জন্য তিনটি দরজা লক্ষ্য করা যায়।এর মধ্যে মাঝে একটি বড় এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ছোট দুইটি দরজা রয়েছে। এর দরজায় জাপানের ফুজিয়ামার কারুকার্য লক্ষ্য করা যায়।
কিভাবে আসবেন
দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঢাকার আরমানিটোলা এসেই এই মসজিদ দেখা যাবে।
কন্টেন্ট রাইটার- অলিয়া রহমান
Crisp Writing. .?