হিন্দুদের এক পবিত্র তীর্থস্থান ‘আদিনাথ শিব মন্দির’ । এটি কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে অবস্থিত।
আদিনাথ মন্দির মহেশখালী জেটিঘাটের উত্তর পাশে অবস্থিত। বাঁকখালী নদী- ইহার উপর দিয়ে কক্সবাজার সদর হতে স্পীডবোট যোগে আসা হয়।
সড়ক পথে- ঢাকা ঢাকা-চট্রগ্রাম-কক্সবাজার হতে আরাকান মহাসড়ক পথে সরাসরি চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা হয়ে বদরখালী ব্রীজ পার হয়ে কালারমা ছড়া অথবা শাপলাপুর রাস্তা দিয়ে সরাসরি মহেশখালী উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয়/উপজেলা পরিষদ।
কক্সবাজার সদর হতে কস্তুরা ঘাট / ৬নং ঘাটা / উত্তর নুনিয়া ছড়া সরকারী জেটী ঘাট হতে স্পীড বোট বা কাঠের বোটে করে মহেশখালী জেটিঘাটা/আদিনাথ জেটিঘাট সেখান থেকে রিক্সা/ মটর গাড়ী যোগে উক্ত দর্শনীয় স্থান সমূহে যাওয়া যায়। জলপথে ঢাকা-চট্রগ্রাম-খুলনা-নারায়নগঞ্জ- চাদপুর-কক্সবাজার হতে জলপথে নৌকা,ইঞ্জিন বোট ও ট্রলারের মাধ্যমে মহেশখালী জেটিঘাট/আদিনাথ জেটিঘাট সেখান থেকে রিক্সা/ মটর গাড়ী যোগে উক্ত দর্শনীয় স্থান সমূহে যাওয়া যায়।
[…] দ্বীপের ঘাট থেকে নেমেই দেখা যায় রিকশা, অটোরিকশা এবং ইজি বাইক, যা দিয়ে পুরো মহেশখালী ঘুরে দেখা যায়। চালকরাই এখানে গাইড হিসেবে ঘুরে দেখায়। দ্বীপটি পুরোটাই ম্যানগ্রোভ গাছ দিয়ে ঘেরা। এই ম্যানগ্রোভ গাছগুলোই এই দ্বীপকে বড় ঢেউ এবং ঝড় থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এই দ্বীপে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় জায়গা আছে। এর মধ্যে থেকে সবচেয়ে বিখ্যাত জায়গা হোলো শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দির। এই মন্দিরটি বেশ বড় এবং এখানে হিন্দুরা বাৎসরিকরিকভাবে তীর্থযাত্রায় সমাগম করে। এই মন্দিরটি কয়েকশ বছর পুরানো এবং বেশ সুন্দর। দ্বীপের স্থানীয় আদি বাসিন্দারা হলো নাথ সম্প্রদায়। তারাই মন্দিরগুলো দেখা শোনা করে এবং যতটুকুই ঐতিহ্য এখন আছে সেটি তারাই সংরক্ষণ করে রেখেছে। বর্তমানে মহেশখালীতে বিভিন্ন বব্যবসায়িক প্রকল্প শুরু হওয়ার কারণে এই দ্বীপটি পরিবেশগত বিপন্নতার সম্মুখীন হয়েছে। […]